পবিত্র রমজান মাসে হলো ত্যাগের মাস। অর্থ্যাৎ এ মাসে সকল খারাপ কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখা যায়। এই মাসটি ক্ষমা পাওয়ার মাস, এই মাসটি অশেষ সওয়াব হাসিলের মাস। এই মাসেই পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। এই মাসেই এমন রাত আছে যে রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। ফলে মুসলিম উম্মাহর জন্য এই মাসের গুরুত্ব বলে শেষ করা যাবে না।
যে ব্যক্তি রমযানের প্রতিটি রাতে নিম্নোক্ত দোয়া পড়বে তার চল্লিশ বছরের গুনাহ মাফ করা হবে :
اَللَّهُمَّ رَبَّ شَهْرِ رَمَضَانَ الَّذِيْ أَنْزَلْتَ فِيْهِ الْقُرْآنَ و اقْتَرَضْتَ عَلَى عِبَادِكَ فِيْهِ الصِّيَامَ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ وَ ارْزُقْنِيْ حَجَّ بَيْتِكَ الْحَرَامِ فِيْ عَامِيْ هَذَا وَ فِيْ كُلِّ عَامٍ وَ اغْفِرْلِيْ تِلْكَ الذُّنُوْبَ الْعِظَامَ فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُهَا غَيْرُكَ يَا رَحْمَانُ يَا عَلَّامُ
অর্থ: হে আল্লাহ্! হে রমযান মাসের প্রভু! যে মাসে তুমি পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ করেছ এবং এ মাসে তুমি তোমার বান্দাদের ওপর রোজা ফরজ করেছ। হে আল্লাহ্! হযরত মুহাম্মাদ (সা.) ও তাঁর বংশধরদের ওপর সালাম ও দরূদ প্রেরণ কর। এ বছর এবং প্রতি বছর তোমার পবিত্র ঘর কাবায় হজ্ব করার তৌফিক দান করো। আমার সকল বড় পাপ ক্ষমা করে দাও। কেননা, তুমি ছাড়া আর কেউই পাপ ক্ষমা করতে পারে না। হে দয়ালু ও সর্বজ্ঞানী!
এছাড়া রমজানের ২৬ তারিখের সূর্যাস্তের সময় ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার’ ৪০ বার পাঠ করলে ৪০ বছরের সগীরা গুনাহ মাফ ও শবেকদরের নিয়্যাতে সন্ধ্যায় গোসল করলে সমস্ত গোনাহ মাফ হয়।